কেমন ছিল সন্তানের কাছে নতুন কোন ডিজিটাল স্কিল শেখার অনুভূতি?
Jharna Rahman
আমার সন্তানের কাছ থেকে প্রথম ডিজিটাল কিছু শেখার অনুভূতি ছিলো দারুন। মা হিসেবে সন্তান কে সারাজীবন কত কিছুই তো শেখানোর চেষ্টা করেছি। জানি না কতোটা সফল হয়েছি। আমার নিজের নিত্য নতুন সব কিছু শিখার প্রতি প্রবল আগ্রহ। অনেক সময় হয়তো সংকোচে সন্তান কে বলা হয় না এটা শিখিয়ে দে আমায়। ব্যাংক এর বুথ থেকে কিভাবে ভিসা কার্ড দিয়ে টাকা তুলা যায় এটা শেখার খুব ইচ্ছে ছিলো। তাহলে আর কষ্ট করে টাকা তুলতে ব্যাংক এ যেয়ে লাইনে দাঁড়ানো লাগবে না। আমার বড় মেয়ে একদিন বুথে নিয়ে আমাকে হাতে কলমে ভালো করে শিখিয়ে দিলো কিভাবে আমি টাকা তুলে নিতে পারবো। আমি তো অবাক। এতো সহজ টাকা তোলা। আর বোকা আমি কিনা এতোদিন লাইনে দাড়াতাম। নতুন কিছু শিখতে পেরে নতুন আমিকে আবিষ্কার করলাম। আমরা মায়েরা চাইলেই সব পারি। এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের সন্তানেরা। আমরা কেনো পিছিয়ে থাকবো? আমিও বলতে চাই, আমরা মা রা সবই পারি।
ফাতেমা আহমেদ
আমার ছেলে মোঃ ইমরুল কায়েস রাফসান। এবার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। আমি সারাক্ষন তাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম।এই স্কুলে নিয়ে যাওয়া, কোচিং, আর্ট ক্লাস ইত্যাদি। এখন রাফসান একটু বড় হয়েছে। ইদানিং তাকে এখন আর আমাকে বেশি নিয়ে যেতে হয় না। কিন্তু বাসায় আমার একা থাকতে ভালো লাগে না। আমার আবার হাতের কাজ করতে ভালো লাগে। আমি রাফসান কে বললাম কিছু করবো। তখন সে বলল তুমি না নানুর কাছে কুশিকাটার কাজ শিখতে চাইছিলা। এখন সেইটা করতে পারো। আমি বললাম কিভাবে। তখন রাফসান আমাকে ইউটিউব থেকে কুশিকাটার সব টিউটোরিয়াল দেখালো। তারপর কিভাবে সেভ করতে হয়, ডাউনলোড করতে হয়, নতুন টিউটোরিয়াল কোথায় পাওয়া যায় সব কিছু শিখিয়ে দিল। সত্যি আমি এখন অনেক হ্যাপি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে এটা ওটা বানাচ্ছি। যেমন কুশনের কভার,ব্যাগ, টেবিল ম্যাট আরো অনেক কিছু। রাফসান কে ধন্যবাদ আমাকে এতো সহজে সব কিছু শিখিয়ে দেয়ার জন্য।
তাহমিনা রহমান
প্রথম বার যখন আমার ছেলে ভিডিও কল করা শেখালো, তারপর থেকে আমিই কল দিয়ে খোঁজ নেই। অসাধারণ লেগেছিল।
Showing 1 out of 1 pages
মা হিসেবে নতুন ডিজিটাল স্কিল শেখার অনুভূতিগুলো ব্যক্ত করুন